ডিপ্লোমা ছাত্রের সঙ্গে কথা: আমার ধারণা বদলে গেল
আজ উদ্ভাসে আমি এক ডিপ্লোমা ছাত্রকে পড়ালাম। ও আসলে ভর্তি হয়েছে এই উদ্দেশ্যে যে, এইচএসসি’র পুরো কনসেপ্ট যেন ক্লিয়ার হয়। আমি আগে প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনে ডিপ্লোমা ছাত্রদের লেখা বা বক্তব্য দেখে ওদের প্রতি এক ধরনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছিলাম। কিন্তু আজ এই ছেলেটার সঙ্গে কথা বলে আমার সেই ধারণা পুরো বদলে গেছে।
-
এতটা বিনয়ী, এতটা নম্র—আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। মজার ব্যাপার হলো, ছেলেটা আগে মানবিক বিভাগে পড়ত, আর এখন ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের মেকানিক্যাল টেকনোলজিতে পড়ছে।
-
সে নিজেই স্বীকার করেছে—পলিটেকনিকে ল্যাব হয় না, কোনো প্র্যাকটিক্যাল কাজ হয় না। অথচ তার ইচ্ছে রোবট বানানো। ওরা যা করে তা হলো: আলো থাকলে লাইট বন্ধ, আলো না থাকলে লাইট জ্বলে—এই পর্যন্তই নাকি ওদের পুরো ডিপ্লোমা লাইফের প্র্যাকটিক্যাল।
-
তারপরও ছেলেটার চোখেমুখে এক ধরনের আগ্রহ আছে, কিছু বানানোর তাগিদ আছে। আমি তখন ওকে অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সের কথা বললাম—যদি ও চায় তাহলে এই সায়েন্স কিটগুলো দিয়ে অন্তত নিজের শখটা পূরণ করতে পারে।
-
কথা বলার সময় আমি কখনোই বি.এসসি বনাম ডিপ্লোমা প্রসঙ্গ টেনে আনি নাই। আমি এমনভাবে কথা বলেছি, যেন এই পার্থক্যটা আমার কাছে কোনো ব্যাপারই না।
Back to Blog
